Friday, August 18, 2017

বন্যার পানিতেও ইউনিফর্ম পরে ডিউটি পালন করতে হচ্ছে

দেশের বড় একটা ভুখণ্ড এখন বন্যার কবলে। উত্তরাঞ্চলের বেশকিছু জেলা ডুবে গেছে বানের পানিতে। সেই পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক পরিবার। এখন দশের মধ্যাঞ্চলে পানি বাড়ছে। বাড়ছে আশঙ্কা। পানির মাঝে জনজীবন থমকে গেলেও কিছু মানুষের কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে। এই বানের জলেও তাদের কাজ যথারীতি চালিয়ে যেতে হচ্ছে। যেমন সেনাবাহিনীর সদস্য, সেচ্ছাসেবী, সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বন্যার্তদের জন্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটি ছবি ঘুরে ভেড়াচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বন্যার পানিতেও ইউনিফর্ম পরে ডিউটি পালন করতে হচ্ছে। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার তাতে নানা ইতিবাচক মন্তব্যও পাওয়া যাচ্ছে।

Monday, August 14, 2017

রোনালদোর অতি নাটকীয় সেই ২৩ মিনিট

ম্যাচের ৬৭ মিনিটই তিনি ছিলেন না। কিন্তু কালকের এল ক্লাসিকোর হাইলাইটের পরতে পরতে থাকবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাঠে মাত্র ২৩ মিনিট ছিলেন। এর মধ্যেই কত ঘটনা। কত নাটকীয়তা!
বদলি হিসেবে নামলেন ৫৯ মিনিটে। জিনেদিন জিদান তাঁকে মাত্র ৩০ মিনিট বরাদ্দ দিয়েছেন। এল ক্লাসিকোতে প্রথম একাদশে না থাকা রোনালদোর জন্য অন্য রকম এক অভিজ্ঞতাই। কিন্তু রোনালদো দ্রুতই বুঝিয়ে দিলেন, মাঠে ৫ মিনিট থাকলেও তাঁর চলে!
বদলি হিসেবে নামার সময়ই পুরো ন্যু ক্যাম্পের ভরা বার্সা-সমর্থকেরা দুয়োর গর্জন তুললেন। নেইমারের চলে যাওয়ার পর ভেতরে জমতে থাকা হতাশা প্রকাশের এই প্রথম বড় সুযোগ যেন পেয়ে গিয়েছিল তারা। কারও না কারও ওপর ঝালটা তো মেটাতে হবে। রোনালদোকেই বেছে নিয়েছিল ন্যু ক্যাম্প। শুনতেও কেমন শ্রুতিকটু লাগল বার্সা-সমর্থকদের এই দুয়ো!
রোনালদোর একদমই ভালো লাগেনি। আর বার্সা-সমর্থকেরাও ভুলে গিয়েছিল, নিরীহ মুখভঙ্গি করে বসে আছে বলেই ভুলে যেয়ো না, বাঘকে খোঁচাতে নেই।
৬৯ মিনিটেই দৃশ্যপটে রোনালদো। গ্যারেথ বেলের ক্রসে শূন্যে শরীর ভাসিয়ে বার্সার জাল কাটতে পা জোড়াতে কাঁচি বানিয়ে ফেললেন। কিন্তু দেখতে দারুণ সুন্দর সিজার কিকটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলো। তবে বার্সার কাছে এই বার্তা পৌঁছে গেল, নিশানার খুব কাছেই কিন্তু তিরন্দাজ!
৭১ মিনিটেই মার্সেলোর দুর্দান্ত এক ক্রসে বল পাঠালেন জালে। কিন্তু গোলের লম্বা বাঁশি নয়, রেফারি বাঁশিতে বেজে উঠল অফ সাইডের সংকেত!
রোনালদো মাথা ঝাড়া দিয়ে তৈরি হতে শুরু করলেন। এরই মধ্যে ৭৫ মিনিটে বার্সেলোনা পেয়ে গেল পেনাল্টি! যে সিদ্ধান্ত হজম করতেই পারছিল না রিয়াল। আরও একচোট হাতাহাতি লাগার উপক্রম।
পেনাল্টি থেকে মেসির গোল। পিকে আত্মঘাতী গোলটা কাটিয়ে ১-১ সমতা ফেরাল বার্সা।
আবারও যেন কামানে ভরা হলো গোলা। ৮০ মিনিটে বুলেট গতির পাল্টা আক্রমণ থেকে রোনালদোর পায়ের কয়েকটি স্পর্শে ছত্রখান পিকের রক্ষণ। তারপর মিসাইল-গতির শট। পুরো ম্যাচে সুপারম্যানের মতো কিছু সেভ করা টের স্টেগেনেরও সাধ্যের বাইরে। বল খুঁজে নিল জাল।
নামার সময় দর্শকদের দুয়ো, অফ সাইডে গোল বাতিলের পরপরই বার্সাকে পেনাল্টি দিয়ে দেওয়া...রোনালদো কতটা ফুঁসছিলেন বোঝা গেল সঙ্গে সঙ্গে। জার্সি খুলে নিজের পেটানোর শরীরটা পুরো দেখিয়ে দিলেন। ‘দেখো, আমি “হিম্যান!” এখনো আগের মতোই আছি। কিংবা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী!’
নাটকের তখনো শেষ হয়নি।
৮৩ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে স্যামুয়েল উমতিতির সঙ্গে পায়ে পা লেগে গিয়ে পড়ে গেলেন বক্সে। পেনাল্টি! না, উল্টো রেফারি ডাইভ দেওয়ার অপরাধে দেখিয়ে দিলেন হলুদ কার্ড! জার্সি খুলে উদ্‌যাপন করে আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। দুই হলুদ কার্ড মিলে হয়ে গেল লাল কার্ড!
রোনালদোকে মাঠ ছেড়ে সোজা চলে যেতে হলো ড্রেসিংরুমে।
রোনালদো চলে গেলেন, কিন্তু তাঁর ছায়া ঠিকই রইল। মার্কো এসেনসিও ঠিক একই রকম পাল্টা আক্রমণে, ঠিক একইভাবে বক্সের বাঁ কোণ থেকে করলেন গোল।
নাটকীয়তায় ঠাসা এল ক্লাসিকো বার্সার মাঠেই ৩-১ গোলে জিতে বুধবারের ফিরতি লেগটাকে একরকম অর্থহীন করে তুলল রিয়াল মাদ্রিদ। এই মৌসুমেও বার্সাকে দর্শক বানিয়ে রাখার একটা পূর্বাভাস দিয়ে রাখল। আর এর সবকিছুর মধ্যে পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকলেন রোনালদো। মাত্র ২৩ মিনিটেই...!
Read for more Info:https://sazidalakber4.wixsite.com/billi2boy

বন্যায় ভাসছে উত্তরাঞ্চল, শিশুসহ মৃত্যু পাঁচ

দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে বন্যায় শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। দিনাজপুরে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে আজ সোমবার একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে তিন দিনে এই জেলায় বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু হলো। লালমনিরহাটে গতকাল রোববার পানি পার হয়ে আশ্রয়ের খোঁজে যাওয়ার সময় সাড়ে তিন বছরের এক শিশু মারা গেছে। আরেক শিশুসহ তিনজন নিখোঁজ। কুড়িগ্রামে তিনজন মারা গেছেন।
এদিকে দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, বগুড়ায় বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। দিনাজপুরে নয়টি বাঁধ ভেঙে শহরের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে।
দিনাজপুর: দিনাজপুর সদর উপজেলায় বন্যার পানির স্রোতে ভেসে আজ সকালে একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। গত দুই দিনে দিনাজপুর সদর, খানসামা, বিরল, বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলায় বন্যায় ১৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে তিন দিনে ১৪ জনের মৃত্যু হলো।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় নয়টি বাঁধ ভেঙে গেছে। নদীতে পানি কমলেও এর ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকেছে। প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুরজ্জামান জানান, গতকাল রোববার পুনর্ভবা নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ৩৮ দশমিক ৩১ মিটার। আজ এই নদীতে পানির উচ্চতা ৩৮ দশমিক ২৮ মিটার। আত্রাই নদীতে পানির উচ্চতা গতকাল ছিল ৪০ দশমিক ১৫ মিটার। আজ কমে হয়েছে ৪০ দশমিক ১০ মিটার।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোখলেসার রহমান বলেন, বন্যার পানিতে দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন ডুবে গেছে। এ জন্য দিনাজপুরের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।
লালমনিরহাট: গতকাল বেলা দুইটার দিকে সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের পূর্ববড়ুয়া গ্রামে রবিউল ইসলামের সাড়ে তিন বছরের ছেলে নাজিম, নাজিমের মা নাজমা বেগম (২২), রবিউলের বোনের স্বামী মোজাম্মেল হক (৪৫) ও মোজাম্মেলের সাত বছরের ছেলে আলী হোসেন বন্যার পানি পার হয়ে আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে সবাই পানিতে তলিয়ে যায়। এক ঘণ্টা পর শিশু নাজিমের লাশ ভেসে ওঠে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে নাজিমের লাশ লালমনিরহাটে এনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় সঙ্গে তার বাবাও ছিলেন। ওই পরিবারের বাকি তিন সদস্য নিখোঁজ রয়েছে।
লালমনিরহাটের পাউবো বলছে, সকাল ছয়টার দিকে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
লালমনিরহাট রেল বিভাগীয় সূত্র জানায়, বন্যার পানিতে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটের ভোটমারী থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত, কুড়িগ্রামের রমনা বাজার থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত, ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় রুট, লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে তিস্তা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ত্রাণ কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানান, বন্যায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবেন্দ্রনাথ জানান, ওই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আজ সকালে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৬৮ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া ইউনিয়নে দুধকুমার নদের পানি ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ি, রাজারহাটের কালুয়া ও ফুলবাড়ীর গোড়কমণ্ডল এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এবং পানি ওঠায় জেলার সঙ্গে এসব এলাকার সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলার নয় উপজেলার ৫৮ ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দী। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৬০৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানিতে ডুবে যাওয়ায় ৮৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ তৎপরতা সচল রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বগুড়া: জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শাহারুল হোসেন মোহাম্মদ আবু হেনা আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল পর্যন্ত সারিয়াকান্দি উপজেলার নয়, সোনাতলা উপজেলার তিন এবং ধুনট উপজেলার দুটিসহ জেলার ১৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত ছিল। গত রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে যমুনা নদীতে ৩০ সেন্টিমিটার ও বাঙ্গালী নদীতে অস্বাভাবিক পানি বেড়েছে। এখনো পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা কত, সেই তথ্য সব উপজেলা থেকে এসে পৌঁছায়নি। আজ দুপুরের মধ্যে তা জানানো সম্ভব হবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যমুনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার চন্দনবাইশা, কামালপুর, কুতুবপুর, বোহাইল, কর্ণিবাড়ি, চালুয়াবাড়ি, হাটশেরপুর, কাজলা, সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুধু সারিয়াকান্দি উপজেলাতেই পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা অর্ধলাখে ছাড়িয়ে যেতে পারে। স্রোতের তোড়ে চরাঞ্চলে নদী ভাঙনে চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের মানিকদাইর চর ও বহুলাডাঙ্গা চরের অর্ধশত পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়েছে।
বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টায় যমুনা নদীর মথুরাপাড়া পয়েন্টে ৯৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় পানি যেভাবে ধেয়ে আসছে, তাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি এবং গত জুলাই মাসের বন্যার চেয়েও পরিস্থিতি দ্বিগুণ খারাপ হতে পারে।’

Friday, August 11, 2017

ফেসবুক হ্যাক হয় যেভাবে

আপনার ফেসবুক প্রোফাইল কে দেখছে ব্যাপারে জানতে চান? ফেসবুক সাধারণত ধরনের তথ্য দেয় না। কিন্তু কিছু স্ক্যাম বা প্রতারণার কৌশল ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বোকা বানায় সাইবার দুর্বৃত্তরা।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এক কৌশলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। জন্য অবশ্য ফেসবুক ব্যবহারকারীর কৌতূহলকে কাজে লাগাচ্ছে তারা। অন্যের সম্পর্কে তথ্য জানার আগ্রহ দেখাতে গিয়ে অনেকেই নিজের পাসওয়ার্ড খোয়াচ্ছেন, হ্যাক হয়ে যাচ্ছে তাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
ফেসবুকে পোস্ট হিসেবে নিশ্চয়ই চোখে পড়েছে প্রলোভন দেখানোর নানা স্ক্যাম? ধরনের পোস্ট বলা হয়প্রোফাইল কে দেখছে, তা জেনে নিন বা আপনাকে কে আনফ্রেন্ড করে দিল, তা দেখার সুযোগ রয়েছে পোস্টে।
ধরনের পোস্ট আসলে একধরনের চাতুরী দুর্বৃত্তদের তথ্য সংগ্রহের কৌশল। ধরনের পোস্টে অনেক সময় এমন সফটওয়্যারের প্রলোভন দেখানো হয়, যাতে অন্যের ফেসবুক প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করার সুবিধার কথাও বলা হয়। অনৈতিক জেনেও অনেকে ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহারে প্রলুব্ধ হন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এলএমএনট্রিক্স ল্যাবের গবেষকেরা সম্প্রতি ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চুরিতে ব্যবহৃত একধরনের সফটওয়্যারের খোঁজ পেয়েছেন। সফটওয়্যারটি রিমোট অ্যাকসেস ট্রোজান (্যাট) ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীর গ্যাজেটসে চলে আসতে পারে। এটাকে বলা হচ্ছেইনস্ট্যান্ট করমা
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে ওই গবেষকেরা বলেছেন, সফটওয়্যারটির ব্যবহার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটাকে ক্ষতিকর সফটওয়্যার কর্মসূচি বা ফেসবুক পাসওয়ার্ড স্টিলার হিসেবে সক্রিয়ভাবে ছড়ানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে একে ফেসবুক পাসওয়ার্ড রিকভারি সফটওয়্যারও বলা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতিকর সফটওয়্যারটি সম্পর্কে নানাভাবে প্রচার চালানো হয়। ধরনের সফটওয়্যারের চাহিদা থাকায় বিভিন্ন স্প্যাম মেইল, বিজ্ঞাপন, পপ-আপ, বান্ডল সফটওয়্যার, পর্নসাইট বা শুধু সফটওয়্যার হিসেবেও এর বিপণন কর্মসূচি চালানো হয়। সফটওয়্যার ডাউনলোড করে কেউ চালালে লগইন তথ্য চাওয়া হয়। ছাড়া যার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য সফটওয়্যার চালু করা হয়, তার লিংক দিতে বলা হয়। এরপর হ্যাক বাটনে ক্লিক করলেই ডিভাইসে ্যাট ইনস্টল হয়ে যায়। ফলে অন্যের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ ঘটতে পারে।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক না করা। কোনো লিংকে সরাসরি ক্লিক না করে ব্রাউজারে পেস্ট করে তা দেখে নেওয়া যেতে পারে। সন্দেহজনক লিংক বা বিষয়টি সম্পর্কে অনলাইনে একটু সার্চ করে দেখে নিতে পারেন। ফেসবুকের সিকিউরিটি সেটিংস ঠিক আছে কি না পরীক্ষা করে দেখুন। তথ্যসূত্র: দ্য সান।



ঢাকার বুকে টেক্সাসের ‘সুলতান’


ঢাকার বুকে টেক্সাসেরসুলতান

লালচে বাদামি রং। রোদে এলে সে রং ঝিলিক দেয়। ঝালরের মতো গলার ঝুল, লেজ মাটি ছুঁই ছুঁই। দুটি কান নেমে গেছে ঘাড়ের কাছে। নাকের ভেতর দিয়ে দড়ি পরানো হয়েছে। গলাও প্যাঁচানো। এভাবে চারটি লম্বা দড়ি দিয়ে সে বাঁধা। তার সবল দেহখানি সামলাতে চারজন শক্ত-সমর্থ লোক খাড়া। বুক কেঁপে ওঠার মতো কালো দুটি চোখ। হাঁটলে মাটি কাঁপে। গম্ভীর মুখে বাদশাহি চালচলন। নাম ওরসুলতান
তবে কোনো সাম্রাজ্যের অধিপতি নয় সে, গায়েগতরে বিশাল এক গরু। মার্কিন মুল্লুকের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ২০১৪ সালে গরুটির জন্ম। মাত্র ১১ মাস বয়সে আকাশপথ পাড়ি দিয়ে ওকে আনা হয় বাংলাদেশে। গরুটি কিনে আনে আমেরিকান ডেইরি নামের গাজীপুরের একটি খামার। এই খামারে আসার পর বাছুরটি নাম হয়সুলতান
সময় গড়াতে থাকে, সুলতানও বড় হতে থাকে। ওর লালনপালন চলে দুই বছর। এত বড় যে সুলতানের ওজন এখন প্রায় হাজার ১০০ কেজি। উচ্চতা ছয় ফুট, দৈর্ঘ্য ১০ ফুট।
তিন মাস আগে সুলতানকে কিনে নেয় মোহাম্মদপুরের সাজিদ অ্যাগ্রো ফার্ম। এক মাস আগে ১৬ লাখ টাকায়সুলতানবিক্রি হয়ে গেছে। কোরবানির ঈদের জন্য বিশাল এই গরুকে কিনেছেন এক ব্যবসায়ী। তবে কোরবানির ঈদের আগ পর্যন্ত সাজিদ অ্যাগ্রো ফার্মেই থাকবে সুলতান।
সাজিদ অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি কিনে আনা গরু এই প্রথম দেশে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিক্রি হলো, এর আগে যা হয়নি।

সুলতানের জীবনযাপনও বেশ আরাম-আয়েশে চলে। ইমরান হোসেন বলেন, প্রতিদিন ওর তিনবেলা গোসল করাতে হবে। প্রতিবারই গোসলের পর চলে সুলতানের গা মুছে দেওয়া পর্ব।
মার্কিনি গরু হলেও এখন দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেকে বেশ মানিয়ে ফেলেছে সুলতান। ইমরান হোসেন বলেন, সুলতান ব্রাহমা জাতের গরু। দেশে গাভির সঙ্গে সংকর করা নয়। সংকর করা ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন ৮০০ কেজির বেশি সাধারণত হয় না। তবে সুলতান বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে ফেলেছে। প্রতিদিন ২৫ কেজি গম, ভুট্টা, খেসারির ভুসি খেতে দেওয়া হয়। এর বাইরে সুলতান খেয়ে থাকে ২০ কেজি ঘাস ১০ কেজি খড়। এসব খাবার দিনে তিনবেলা দেওয়া হয় সুলতানকে।
ইমরান হোসেন বলেন, কোরবানি দেওয়া হলে সুলতানের কাছ থেকে প্রায় ২২ মণ মাংস পাওয়া যাবে।
সাড়ে তিন বছর বয়সী সুলতানের দ্রুত বেড়ে ওঠার কারণ সম্পর্কে ইমরান হোসেন বলেন, ব্রাহমা জাতের গরু ঠিকমতো লালনপালন করা হলে এই আকৃতির হয়ে থাকে। তা ছাড়া সুলতানের মাথায় কোনো শিং নেই। শিং বাড়তে না দেওয়ার ব্যবস্থা আমেরিকায় করে দেওয়া হয়েছিল। শিং ছোট থাকলে গরুর শারীরিক বৃদ্ধি দ্রুত ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি নিয়ে আসা গরু এভাবে বিক্রির তথ্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছেও নেই। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আইনুল হক বলেন, ‘ভারত, মিয়ানমার নেপালের গরু বাংলাদেশে আসে। অস্ট্রেলিয়ান, পাকিস্তানের শাহিয়াল গরু সংকর করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া গরু সরাসরি দেশের বাজারে বিক্রির তথ্য এখন পর্যন্ত আমার কাছে নেই।



for more info:https://sazidalakber4.wixsite.com/billi2boy